আষ্টেপৃষ্ঠে জরিয়ে ধরে আমার ঠোঁট দখল করে আছে পিয়াস আমার নড়াচড়া করার বিন্দু মাএ ক্ষমতা নাই । ঠোঁট ছেড়ে আমার দেহ নিয়ে ব্যস্ত পিয়াস এদিকে আমি ব্যথায় অচেতন হয়ে যাচ্ছি । পিয়াসের আমার দিকে কোনো খেয়াল নাই। পিয়াস তার কাজ শেষ করে আমাকে বলল শুন কখনো আমার কাছে স্বামীর অধিকার দেখাতে আসবি না। তুই শুধু আমার শয্যা সঙ্গি। প্রতিদিন হাজারটা তোর মত মেয়ে আমার পিছনে ঘুরে। তোকে শুধু বিয়ে করছি বাবার কথা রাখার জন্য।
বাসর ঘরে এই কথার শোনার জন্য মোটে ও প্রস্তুত ছিলাম না।ভাগ্যের পরিহাসে দারিদ্র্য বাবার ঘরে জন্ম নিলাম।ছোট বেলা থেকে ই অবহেলিত, আমার মা গত হয়েছে সেই আমার ছয় বছর বয়সে তার পর থেকে সৎ মায়ের অত্যাচার। সব মিলিয়ে শৈশব কেটেছে বিষাক্ত। বাবার ও কিছু করার ছিল না। এতোক্ষণ স্মৃতি গুলো মনে করে আরো কেঁদে উঠলো তন্নি।
আমার নাম তন্নি। আমি এইবার এসএসসি পরিক্ষা দিয়েছি। আমরা তিন ভাই বোন। আমি আর আমার সৎ দুই বোন।
আমার বিয়ে হয়েছে যার সাথে নামকারা বিজনেসম্যান পিয়াস চৌধুরী। পিয়াস আর, দুই বোন । বড় বোনের নাম ঐশী, ছোট বোনের নাম ঈশিতা।
কী হলো তুই এখন ও আমার বিছানায় বসে আছিস। কারো কন্ঠ শুনে পিছনে তাকিয়ে দেখলাম পিয়াস
পিয়াসঃতুই আমার বিছানা থেকে নেমে নিচে শুবি। আমি তোর মতো ক্ষেত মেয়ের সাথে ঘুমাতে পারবো না আর শুনে রাখ আমি এখন পৃথার সাথে কথা বলবো, তুই কোনো শব্দ করবি না।
তন্নিঃ মাথা নাড়ালো আর চোখ দিয়ে অশ্রু ঝরছিল, কিছু বলার মত সাহস যে তার নাই
চুপ করে নিচে শুয়ে আছি আর ঐ দিকে পিয়াস পৃথার সাথে কথা বলছে আমি শ্রোতার মত শুনতেছি। আল্লাহ আমাকে কেনো এইরকম জীবন দিল।আমার প্রতেবেশি বলতো বিয়ের পর আমি নাকি অনেক সুখি হবো এই কী আমার সুখের নমুনা। এগুলো ভাবতে ভাবতে আমি কখন ঘুমিয়েছি মনে নেই। আযানের শব্দ শুনে ঘুম থেকে উঠলাম। উঠে নামজ পড়ে অনেক কান্না করলাম হঠাৎ দরজায় কারো ডাকার শব্দ শুনে এগিয়ে গেলাম। দেখলাম একটা বয়স্ক মহিলা।
মহিলাটি আমাকে বলল বউ শুনো আমি এই বাড়ি কাজ করি বড় আম্মা মানে তোমার শাশুড়ি বলছে সকালে যেনো তোমাকে ডেকে তুলে আমার সাথে কাজ করতে বলি।
আমি বাধ্য মেয়ের মতো বললাম খালা আপনি নিচে যান আমি ফ্রেশ হয়ে নিচে আসছি।
নিচে নেমে খালার সাথে একটু আকটু কাজ করলাম খালা আমাকে কাজ করতে দেয় না। খালার সাথে ভালো ই ভাব জমিয়ে ফেলেছি। যাক কেউ একজন আছে আমাকে বুঝার মতো।
প্রায় নয়টার দিকে আমার শাশুড়ি মা নিচে আসলো। শোনো তন্নি তোমার বাবা তো কিছু দিতে পারে না। আমার ছেলেটার উপর ফাঁসিয়ে বেচেছে।তুমি থাকতে আমি কাজের লোক রাখবো না।তুমি সব কাজ করবা আজকে থেকে সবার ছুটি। আমার চোখ দিয়ে শুনো নোনা জল গড়িয়ে পড়ছে।
পিয়াস ও নিচে নেমে এই কথা শুনতে পেলো। পিয়াস কী কিছু বলবে না আমাকে দিয়ে ই সব কাজ করাবে?
চলবে
#ভাগ্যের পরিহাস
#নাহিদা ইসলাম
পর্ব ১
[ ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন, নিয়মিত গল্প পেতে রিকুয়েষ্ট দিতে পারেন]